৫০+ ইসলামিক ফেসবুক স্ট্যাটাস, উক্তি, ক্যাপশন ও বাণী
প্রথমে সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাই ও বোনদেরকে জানাই আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সকলে আল্লাহ তাআলার রহমতে ভালো আছেন। যদি ভালো থেকে থাকেন তবে আলহামদুলিল্লাহ বলে আজকের এই পোস্টটি পড়তে পারেন। কেননা আজকে আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরব কিছু ইসলামিক স্ট্যাটাস ও বাণী সমূহ। যেগুলো আপনি আপনার প্রিয়জনদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন।
ইসলামের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে নিজের আপনজনদেরকে জানানো ও সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করার জন্য ইসলামিক স্ট্যাটাস। এর মাধ্যমে আপনি ইসলামের ধারণা মানুষের মাঝে ফুটিয়ে তুলতে পারেন। তবে তা অবশ্যই বুঝে শুনে সঠিক কিনা সেটা দেখে দিতে হবে। তাই এখন আপনাদের সামনে আমরা কিছু ইসলামিক স্ট্যাটাস ও বাণী তুলে ধরবো যা আমরা অনেক খুঁজে খুঁজে বের করেছি।
ইসলামিক স্ট্যাটাস
মুসলমানদের মধ্যে সকলে মুসলমান বলে দাবি করলেও ইসলামের সঠিক জ্ঞান মানুষের অনেক কমই রয়েছে। যার ফলে ইসলামের বিভিন্ন নিয়ম কানুন ও নীতিমালা সম্পর্কে মানুষ কম জানে। বিভিন্ন নবী রাসূল ও আল্লাহ তাআলার বলা বিভিন্ন কথা সম্পর্কে মানুষ কম জেনে থাকে। তাই সেগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরার উপায় হচ্ছে ইসলামিক স্ট্যাটাস। সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো:
>>”আল্লাহ তাআলার দরবারে ফেলা চোখের পানি কখনো বিফলে যায় না।” _ হযরত মুহাম্মদ (সা.)
>>হযরত মোহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ” তুমি তোমার মাকে খুশি রেখো। আল্লাহ তাআলা তাহলে তোমাকে খুশি রাখবেন।”
>>”প্রত্যেকটি বিশ্বাসঘাতকের জন্য কিয়ামতের দিন হাশরের ময়দানে একটা করে পতাকা দেয়া থাকবে, যাতে করে বিশ্বাসঘাতকদের চেনা যায়।” _ আল কুরআনে বর্ণিত
>>” আল্লাহ তাআলা বলেন, “তোমরা ভয় পেয়ো না আমি তোমাদের সঙ্গে আছি, আমি সব শুনি এবং দেখি।” _ আল কুরআনে বর্ণিত
ইসলামিক স্ট্যাটাস ২০২৩
আমরা আপনাদের জন্য চেষ্টা করেছি যথেষ্ট সঠিক ও সত্য কথাগুলো জানাতে। এই স্ট্যাটাস গুলো আমরা আপনাদের জন্য আলাদাভাবে উপস্থাপন করেছি। তাই এগুলো আপনারা মনোযোগ দিয়ে পড়বেন আশা করি।
” আল্লাহর বান্দার যখন শরীরে জ্বর হয়, তখন তার সকল গুনাহ ঝরে পড়তে থাকে।” _হযরত মোহাম্মদ (সা.)
” আল্লাহর পথে নিজেকে চালিত করো। দেখতে পাবে খারাপ সময় গুলো নিজের কাছে আল্লাহর রহমত মনে হবে।”
” নিশ্চয়ই সর্বোত্তম জিকির হচ্ছে – লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ..! ” _ বুখারী শরীফ
” শরীরের অসুস্থতা কাটানোর ঔষধ বাজারে পাওয়া গেলেও। মনকে সুস্থ রাখার একমাত্র ওষুধ হচ্ছে আল কুরআন।”
” ইসলামের বিধান হচ্ছে এমন বিধান, যেখানে খুশি হয়ে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করলে সওয়াব হয় আবার আল্লাহর কাছে কাঁদলে গুনাহ মাফ হয়।”
নতুন বছরের ইসলামিক স্ট্যাটাস
এই নতুন বছরে আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি নতুন কিছু সুন্দর ইসলামিক স্ট্যাটাস গুলো। যে স্ট্যাটাস গুলো আপনারা করছেন সেগুলোই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি। এখানে বর্ণনা করা হয়েছে কিছু সঠিকভাবে খুঁজে বের করা স্ট্যাটাস গুলো। নতুন বছরের ইসলামিক স্ট্যাটাস গুলো জানতে নিচে দেখুন:
” ফজরের নামাজ পড়া ছাড়া কখনোই কারোর সকালের শুরুটা শুভ হতে পারে না আর তার সাথে দিনটাও না।”
” তিনি হলেন একমাত্র ব্যক্তি, যার চরিত্র নিয়ে অবহান আল্লাহ তা’আলা নিজেই প্রশংসা করেছেন। আর তিনি হলেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)”
” পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার সাথে সাথে সব সময় শুক্রবারে নামাজ জামাতে আদায় করা উচিত।
কারণ এটি হচ্ছে গরিবের হজ স্বরূপ এবং সকল মুসলমানের জন্য গুনাহ মাফের দিন।”
” তোমরা সকলেই আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া আদায় কর, তাহলে দেখবে আল্লাহ তোমাকে রহমত দিয়ে ভরিয়ে দিয়েছেন।”
বাংলা ইসলামিক স্ট্যাটাস
যেহেতু আমাদের সকলের মাতৃভাষা বাংলা তাই বাংলা ভাষাতেই ইসলামিক স্ট্যাটাস গুলো শেয়ার করা উত্তম। কারণ এতে করে যাদেরকে এই স্ট্যাটাস গুলো দেখাবেন তারা সহজে বুঝতে পারবে। আর নিজের ভাষায় যেকোনো কিছু প্রকাশ করা সবচেয়ে সহজ। তাই নিচে কিছু বাংলা ইসলামিক স্ট্যাটাস গুলো দেয়া হলো:
” কোন বান্দা নামাজ পড়ার জন্য অজু করলে, ওযুর পানির সাথে বান্দার সকল গুনাহ গড়িয়ে পড়তে থাকে।”
” সব সময় ঘুমানোর পূর্বে রাত্রিকে নিজের শেষ রাত মনে করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে ঘুমাবেন।
কারণ হতে পারে সেটাই আপনার জীবনের শেষ রাত।”
” সকল কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করার পূর্বে অবশ্যই ইনশাল্লাহ বলে নেবেন। তাহলে আল্লাহ তায়ালা আপনাকে সেই কাজে অবশ্যই সফলতা দিবেন।”
” এই পৃথিবীতে সবচেয়ে সুখী ও ভাগ্যবান সেই ব্যক্তি যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে ও কোরআন তেলাওয়াত করে।”
ইসলামিক ফেসবুক স্ট্যাটাস
ফেসবুকে ইসলামিক বিষয়ে শেয়ার করার জন্য অনেক উপায় রয়েছে। তবে তার মধ্যে সবচেয়ে ভালো হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ইসলামিক উক্তি ও বাণী সমূহ। এর সাথে কিছু স্ট্যাটাস দেয়া। তা এখন আপনাদের সামনে আমরা কিছু ইসলামিক ফেসবুক স্ট্যাটাস তুলে ধরলাম।
” ফজরের নামাজ আদায় করে দিন শুরু করলে সেই দিনটি শুভ হয় ও আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়।”
” নিশ্চয়ই আমরা সকলেই অনেক ভাগ্যবান যে আমরা একজন মুসলমান হিসেবে জন্মগ্রহণ করেছি।”
” আমরা সেই নবীর উম্মত যে নবী প্রথম জান্নাতের দরজা খুলবেন, আর তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.)।”
” হাজার কষ্টের মাঝেও আলহামদুলিল্লাহ বলে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করুন।
কেননা আল্লাহ চাইলে আপনাকে এর থেকেও আরো কঠিন অবস্থায় রাখতে পারতো..!”
” যুবক রাখা হলো আল্লাহর ইবাদত করা ছেড়ে না। কেননা যুবক বয়সের এবাদতকে আল্লাহতালা অধিক পছন্দ করেন।”
আরো দেখুন: