ভিসা কিভাবে করতে হয় – অনলাইনে ভিসা আবেদন করুন
আমাদের এই দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন প্রচেষ্টা অনেক ঝামেলা কর। অনেকেই এই ভিসা আবেদন নিয়ে অনেক ভোগান্তির সম্মুখীন হয়ে থাকেন। তাই সেই ভোগান্তির সম্মুখীন থেকে মুক্তি দিতে আমরা আজকে ভিসা আবেদন করা সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি। যাতে করে আপনি খুব সহজেই নিজেই কিভাবে ভিসার আবেদন করতে হয় তা বুঝতে পারেন।
এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে হলে ভিসার আবেদন করতে হয়। কারণ ভিসা ছাড়া অন্য দেশে যাওয়ার অনুমতি পাওয়া যায় না। ভিসাই হচ্ছে অন্য দেশে যাওয়ার অনুমতি পত্র। তাই নিজে নিজে কিভাবে কোথায় থেকে ভিসার আবেদন করবেন সেই সম্পর্কেই আমরা আজকে সম্পূর্ণ প্রসেস আপনার সামনে তুলে ধরবো।
ভিসা কিভাবে করতে হয়
বাংলাদেশ থেকে ভিসা পেতে আপনার পাসপোর্ট ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। আপনি ভিসা পেতে ইচ্ছুক দেশের সহযোগী দূতাবাস বা একটি ভিসা সার্ভিস সেন্টারে যেতে পারেন।
ভিসা জন্য সম্পূর্ণ আবেদন পদ্ধতি ও যে কোনও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপনাকে সরবরাহ করতে হবে। ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করে আপনাকে যে কোনও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলি জমা দিতে হবে। এছাড়াও আপনাকে ভিসা আবেদন ফি প্রদান করতে হবে। এরপর আপনাকে একটি ইন্টারভিউ প্রদান করা হবে যাতে আপনি আপনার যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারেন।
ভিসা প্রদানের পূর্বে সরকার আপনার আবেদনটি পর্যালোচনা করবে এবং আপনার ভিসা প্রদান করা যাবে কিনা তা নির্ধারণ করা হবে। আপনার ভিসা প্রদান হলে আপনার পাসপোর্ট নিয়ে সেই দেশের জন্য টিকিট কেটে চলে যেতে পারবেন।
ভিসার জন্য আবেদন
বাংলাদেশ থেকে ভিসা জন্য আবেদন করার জন্য নির্দিষ্ট পদক্ষেপ সম্পন্ন করতে হবে। নিচে একটি সাধারণ ভিসা আবেদনের পদক্ষেপ দেওয়া হল:
১. প্রথমে, আপনার পাসপোর্ট যাচাই করে নিশ্চিত হতে হবে যে তা বৈধ এবং সঠিক।
২. সম্পর্কিত দূতাবাসে যোগাযোগ করে ভিসা আবেদন ফরম প্রাপ্ত করতে হবে। আবেদন ফরমে আপনার সম্পূর্ণ তথ্য প্রদান করতে হবে।
৩. ফরম পূরণ করার পর, সম্পর্কিত দফতরে ফরমটি জমা দেওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। এটি অন্যদের সাথে কমপক্ষে একটি সাক্ষাৎকারের জন্য স্থানান্তর করা হতে পারে।
৪. ভিসা আবেদনকারী ব্যক্তির জন্য নির্দিষ্ট ফি প্রদান করতে হবে। ফি পরিমাণ ভিসার ধরণ এবং সময়কাল উভয়ের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
৫. পরীক্ষামূলক কারণে ভিসা অন্যান্য দফতর দ্বারা পরীক্ষিত হতে পারে। আপনার সম্পূর্ণ আবেদন পত্রটি পর্যালোচনা করার পর তাদের কাছে ঠিক মনে হলে আপনাকে তারা ভিসা দিয়ে দেবে।
অনলাইনে ভিসা আবেদন
বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে ভিসা আবেদন করার জন্য কিছু ওয়েবসাইট এবং প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে ভিসা আবেদন করা সম্ভব।
আপনি অনলাইনে একটি ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করতে চাইলে, সম্পর্কিত দূতাবাস বা কনসুলেট অফিসের ওয়েবসাইট দেখতে পারেন। এই ওয়েবসাইটগুলি ভিসা আবেদনের সম্পূর্ণ পদক্ষেপগুলি পরিচালনা করতে সহায়তা করবে।
আপনি অনলাইনে ভিসা আবেদন করার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে হবে, যেমন আপনার পাসপোর্টের সঠিক তথ্য, ভিসা এবং অফার লেটার, এবং অন্যান্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিশ্চিত করা হয়ে যাওয়া বিষয়গুলি।
এছাড়াও, অনলাইনে ভিসা আবেদন করার আগে সম্পূর্ণ সেবা সম্পর্কে জানতে চাইলে অধিকাংশ দূতাবাস এবং কনসুলেট অফিসের ওয়েবসাইট থেকে ভালোভাবে যোগাযোগ করে জেনে নিতে হবে।
ভিসা করতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশ থেকে ভিসা করতে গেলে কতটুকু টাকা লাগবে তা ভিসার ধরন এবং সময়কাল উভয় উপায়ে উপর নির্ভর করে। আমি কিছু উদাহরণ দিচ্ছি:
- ট্যুরিস্ট ভিসা: বাংলাদেশ থেকে ভ্রমণকারীরা ভিসা প্রাপ্তির জন্য আবেদন করতে পারেন। এই ভিসার জন্য আবেদনকারীকে ক্ষমতাসম্পন্ন কোনও দেশে প্রবেশ করতে হবে। ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য প্রদেয় হয় 50 ডলার পর্যন্ত।
- শিক্ষার্থী ভিসা: বাংলাদেশ থেকে ভর্তি হওয়া কোনও বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার জন্য শিক্ষার্থী ভিসা প্রাপ্ত করতে হবে। এই ভিসার জন্য আবেদনকারীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিবন্ধন করতে হবে। শিক্ষার্থী ভিসার জন্য আবেদন সম্পূর্ণ ফ্রি করা হয়।
- ওয়ার্কিং ভিসা: বাংলাদেশের কর্মচারীরা বিদেশে কাজ করার জন্য ওয়ার্কিং ভিসা প্রাপ্ত করতে আবেদনকারীকে কনসুলার ফি ও অ্যাপ্লিকেশন ফি দিতে হয়।
- কনসুলার ফি: কনসুলার ফি হল সাধারণত ফি বা সেবা চার্জ যা ভিসা অফিস বা দূতাবাস দ্বারা সংগ্রহ করা হয়। এই ফি ভিসার ধরন এবং সময়কাল উভয়ে উপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে। কনসুলার ফি সাধারণত ২০ ডলার হতে পারে।
- অ্যাপ্লিকেশন ফি: সাধারণত, ওয়ার্কিং ভিসার জন্য আবেদনকারীকে অ্যাপ্লিকেশন ফি প্রদান করতে হয়। এই ফি সাধারণত ২০০ ডলার থেকে ৫০০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে।
ভিসা করতে কি কি লাগে
বাংলাদেশ থেকে ভিসা করতে নিম্নলিখিত কিছু পত্র ও তথ্য দরকার হতে পারেঃ
- পাসপোর্ট: ভিসা প্রাপ্তির জন্য পাসপোর্ট একটি প্রয়োজনীয় দলিল।
- ভিসা আবেদন ফরম: ভিসা আবেদন ফরম একটি ফর্ম্যাট যা সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। এটি কাছে থাকতে পারে অথবা ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যেতে পারে।
- ছবি: ভিসা আবেদনকারী একটি পাসপোর্ট সাইজ ছবি সঙ্গে অবশ্যই সম্পর্কিত হতে হবে।
- ফি সম্পর্কিত কাগজপত্র: ভিসা আবেদনের জন্য ফি প্রদান করতে হতে পারে। এটি সাধারণত কনসুলার ফি এবং অ্যাপ্লিকেশন ফির রূপে প্রদান করতে হবে।
- অন্যান্য দলিল: ভিসা অফিস প্রয়োজন মনে করতে পারে যে আরও কিছু দলিল দরকার হবে, যেমন আরও ছবি, কাজের জন্য প্রস্তুতি সম্পর্কিত তথ্য।
- স্বাস্থ্য সারটিফিকেট (যদি প্রয়োজন হয়) এবং নির্দিষ্ট প্রস্তাবিত প্রয়াজের সময়সূচি এবং পর্যটক পরিচিতি (যদি প্রয়োজন হয়)।
কিভাবে ভিসা চেক করতে হয়
বাংলাদেশ থেকে ভিসা চেক করার জন্য আপনার ভিসা স্ট্যাটাস জানতে হবে। এটি জানার জন্য আপনি কিছু ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারেন। নিচে কিছু ওয়েবসাইটের নাম দেওয়া হলঃ
- বাংলাদেশ উচ্চ কমিশন, লন্ডনের ওয়েবসাইটে আপনি আপনার ভিসা স্ট্যাটাস চেক করতে পারেন। আপনি এখানে আপনার পাসপোর্ট নম্বর এবং জন্ম তারিখ দিয়ে চেক করতে পারেন। ওয়েবসাইটের ঠিকানা হলঃ https://bhclondon.org.uk/bdpassportservices/visa-status-check/
- আপনি ভিসা চেক করতে পারেন https://www.visa.gov.bd/ ওয়েবসাইটে গিয়ে সেলেক্ট অপশন থেকে নির্বাচন করে নিজের ভিসা স্ট্যাটাস চেক করতে পারেন।
-
আপনি যদি ওয়ার্ল্ড ট্রেভেল আ্সোসিয়েশনের কাছ থেকে ভিসা নিয়ে থাকেন, তবে আপনি ওয়ার্ল্ড ট্রেভেল আ্সোসিয়েশন এর ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আপনার ভিসা স্ট্যাটাস চেক করতে পারেন।
আরো পড়ুন: